Tuesday, 26 May 2015

25th of April, 2010

 চুপিসারে অঙ্ক সেরে, একছুটে পাড়ার মোড়ে
সাড়েদশটা বাজলো বলে, কে অার রোখে আমায় তবে ?
Probability কষতে কষতে, দাঁড়িয়ে থাকা শূন্যে চেয়ে
ভাবছি শুধু অাপন মনে, অভীষ্ট কি সিদ্ধ হবে ?
পরিচিত মুখের কৌতুহলী দৃষ্টি, বিঁধছে যেন আষ্টেপৃষ্ঠে
তবু এত ক্ষত নিয়ে, পালাইনিতো যুদ্ধ ছেড়ে ?
সাজাতে ব্যস্ত নিজেই নিজেকে, মুখ গুঁজি ফোনের স্ক্রিনেতে
শংশয় তবু আপন মনে,পারছি কি আমি, দিতে ধুলো লোকের চোখে ?

     অবশেষে, দীর্ঘ অপেক্ষা শেষে
অস্পষ্টভাবে প্রবেশিল সে, আপন দৃষ্টিক্ষেত্রে
ক্রমশ স্পষ্ট থেকে স্পষ্টতর হতে হতে
আমার সার্কেলের ট্যানজেন্ট বরাবর
দ্রুতগতিতে চলে গেল সে
আমাকে আলতো স্পর্শ করে....
               ঠিক যেই মুহূর্তে সে আমার বৃত্তকে স্পর্শ করল, আমার সমস্ত ছন্দ গেল হারিয়ে। আমি গদ্যরূপ ধারণ করলাম।স্পর্শবিন্দু থেকে সে আমার মনকে ছিনিয়ে নিয়ে চলে গেল নিজের সাথে।আমি নির্বিকার হয়ে দাঁড়িয়ে রইলাম, আমার মন ছুটে চলল তার সাথে সাথে। আমাদের আপেক্ষিক বেগ ক্রমশ কমতে কমতে শূন্য হয়ে গেল।আমাদের মধ্যেকার ছবিটা Slow motion এ ফুটে উঠল।অবাক চোখে আমি তাকে পর্যবেক্ষণ করতে লাগলাম। তার প্রত্যেকটি চোখের পাতা পড়া,ঠোঁটের আলতো কম্পন,শ্বাসপ্রশ্বাসের দরূণ তার বুকের ওঠানামা,সব আমার চোখের সামনে ধীরগতিতে ভেসে উঠল।স্কুলের সামনে Speed breaker  এর ওপর দিয়ে চলার সময় তার দেহের অঙ্গপ্রত্যঙ্গে যে প্রবল ঝাঁকুনির সৃষ্টি হল তাও আমি অত্যন্ত Slow motion এ প্রত্যক্ষ করলাম। তারপর স্কুলের গেটের কাছে সে দাঁড়িয়ে পড়ল,আমিও দাঁড়ালাম। সাইকেল ঠেলতে ঠেলতে সে স্কুলের ভিতর প্রবেশ করল,তার পাশে পাশে আমিও চললাম হেঁটে।সাইকেল রেখে সে  42নম্বর রূমের দিকে হাঁটতে লাগল,আমিও তার পিছু পিছু তার হাঁটার ছন্দ মেলাতে মেলাতে হেঁটে চললাম। দু'চারটে ছেলেকে আতি সন্তর্পণে পাশ কাটিয়ে সে Classroom এ প্রবেশ করল,আমি তার ছায়ায় মিশে।2nd bench এ গিয়ে বসল সে।আমি গিয়ে,তার পাশে বসে,তার দিকে ঘুরে গালে হাত দিয়ে একমনে তার দিকে তাকিয়ে রইলাম। সে গল্প করছিল,বন্ধুদের সাথে।আমি তার একটা কথাও শুনতে পাচ্ছিলাম না,শুধু লক্ষ্য করছিলাম তার ঠোঁটের ওঠানামা, আর চোখের তারার কম্পন।

No comments:

Post a Comment