ভাবুন.. . . . প্লিজ্ একটু ভাবুন.. . . .
কচি কথা কেন বুড়িয়ে গেলেই আগুন ?
জামার হাতায় আর কলারের ভাঁজে কেন ময়লারা করে অবরোধ ?
কথা দিয়ে মাথা দিয়েছি তবু কেন রাখতে পারিনি অনুরোধ ?
বাক্সবন্দী ফন্দি গুলো কেন মাথা চাড়া দিয়ে ওঠে রোজ ?
দিনের আলোতে হারিয়েছে যা, কেন মেলেনি তার কোন খোঁজ ?
প্লিজ্ দেখুন.. . . . চোখ মেলে চেয়ে দেখুন.. . . .
অন্ধকারের বন্ধ গলিতে একটু উঁকি মেরে দেখুন।
পথচলতি মানুষের ভিঁড়ে দুচোখ দিয়েছে ফাঁকি ,
কালো ক্যানভাসে রং তুলি দিয়ে খালি শুন্যতা আঁকি ।
রাস্তার কতো সস্তা হোটেলে আজ মানুষ হচ্ছে বিক্রি ,
পকেট ভরার লড়াইয়েতে তাই হচ্ছে জারি ডিক্রি ।
আর অবশেষে ,
মাখুন .. . . .
নিজেই নিজেকে লুকোতে রং মাখুন ।
Saturday, 2 August 2014
(16) প্রশ্নচিহ্ন , অন্যচিহ্ন
(15) কেউ বারণ করে না বলে
চামড়ার গভীর ক্ষতের মধ্যে লুকিয়ে রেখেছি তোকে
অনেক বছর কেটে গিয়েছ, তবু কেটে যাওয়ার চিহ্ন গিয়েছ রয়ে
আমি মুছে যেতে দিইনি তাকে, তোকে, তোর স্পর্শ আর ভালোবাসাকে ।
আজও চোখ বন্ধ করে কান পাতলেই শুনতে পাই, শ্রাবণের সেই অদ্ভুত মায়াবী সুর, শব্দগুলো গিয়েছে হারিয়ে ।
সাথে সাথেই চোখের সামনে ভেসে ওঠে একটা দৃশ্য, একগুচ্ছ ছবি, কিছু মুখ ।
বছরের পর বছর, তারও পরে আরও একটা বছর কেটে গিয়েছ ,
তোর জন্য লাগানো স্পেশাল রিং-টোন্ টা একবারের জন্যও বেজে ওঠেনি ,
তবু আজও কালক্রমে ফোন্ টা যদি এক ঘন্টা সুইচড্ অফ্ থাকে ,
তাহলে মনে হয় ,
যেন, এই বুঝি তোর কল্ টা মিস্ করে ফেললাম।
আজকাল আর বড় চুল রাখিনা ,
মদ্ খেতেও ভালো লাগেনা আর ,
কেউ বারণ করেনা বলে ।
(14) তৃষ্ণা
মাটির কলসি হাতড়ে দেখি একফোঁটাও জল নেই ,
বড্ড তেষ্টা পেয়েছে আমার.. . .
টাইম কল্ টাও আবার বড্ড বেশি সময়সচেতন ।
আমি তোর মত ভাবতে পারিনি ,
তোর মত হতেও পারিনি ,
আমি 'তুই' নই বলে ,
তোর মত নই বলে ।
তাতে কি.. . . . ?
আমি তো তাল গাছেও চড়তে পারিনা ,
ডালপালা নেই বলে ।
বাবুই এর তো আবার তালগাছ ই প্রিয় ,
কিন্তু আমি বাবুই হতে পারলাম কৈ ?
যাইহোক, এ সবই আমার আত্মপক্ষ সমর্থনের বৃথা চেষ্টা ,
আসল কথা হল ,
বড্ড তেষ্টা পেয়েছে আমার.. . .
তিনশ মাইল পায়ে হেঁটে বাড়ি ফিরলাম আজ ,
কেউ ভাবতে পারেনি ফিরব বলে ,
একফোঁটাও জল রাখেনি কেউ আমার ঘরে ,
হাঁপিয়ে উঠেছি আমি, গলা শুকিয়ে গেছে অনেকক্ষণ,
তৃষ্ণা.. . .
শুধুই তৃষ্ণা.. . . .
(13) অন্যরূপ
কলমের কালি করে অক্ষরের রূপ দিয়েছি তোকে ,
লিখে ফেলেছি তোকে, বন্দী করেছি তোকে, ডাইরির পাতাতে ।
নিজের পছন্দের অক্ষরের সাথে জুটি বেঁধেছিস তুই ,
গড়ো তুলেছিস শব্দ, আর বাক্য
ঢেকে ফেলেছিস সাদা পাতা ।
কিছু মনে করিসনা তুই ,
হয়তো বা একটু বাঁকা-ট্যাঁরা বানিয়ে ফেলেছি তোকে ,
ক্ষমা করিস আমায় ,
তোর অপরূপ রূপ আমি ফুটিয়ে তুলতে পারিনি।
যথার্থই, আমি শিল্পী নই বটে
কাঁচা হাত, কাঁচা কাজ
তাও আবার কেঁপে উঠেছে সময়ে সময়ে ।
হয়তো এই রূপে তোকে কেউ চিনতে পারবে না,
হয়তো তুইও না ,
কিন্তু আমি ঠিক পারব -
কারণ আমিই যে রূপকার ।
(12) প্রলাপ
মন শুধু মন
জানে যেই জন্ ,
শোন তোরা শোন
কান খুলে শোন ,
নীল শুধু নীল
আজ আকাশটা বড়ো নীল ,
নেই মেঘ নেই বৃষ্টি
তাই থমকে রয়েছে সৃষ্টি ,
জানি আমি জানি
তোমার সব ইশারার মানে আমি জানি ,
তবু, জেনে বা না জেনে
ভুল করেছি অজ্ঞানে ,
সময় আর অসময়
গুলিয়ে গেছে অনেক সময় ,
রাত পেরিয়ে অন্য রাত
পড়ছে মনে তোমার হাত ,
নেই কোনো কারণ
তবু বাঁধ মানেনা বারণ ,
প্রতিনিয়তই হারছি নিজে
আর হারাচ্ছিও নিজেকেই ,
বিষ্ ভরা নিশ্বাস
চূর্ণ হচ্ছে বিশ্বাস ,
তবু প্রতি রাতে
অতি সর্ন্তপণে
তোমার মন উঁুকি দেয়
আমার অন্তর ধামে ,
ভাবি মনে আজি
হৃদয় রেখেছি বাজি ,
যদি হয় জিত্ আমার
এ হৃদয় হবে তোমার ,
আর যদি হয় হার
তবুও এ হৃদয় থাকবে তোমার ।
(10) দুটি চোখ, গরাদের ওপাশে
জানালার গরাদ ধরে দাঁড়িয়ে দুটি হাত ,
তবু চোখ চলে যায় সুদূর সীমা পার ,
খুঁজে ঘেঁটে দেখা অলিগলি, ঝোপঝাড়, পুকুরের পাড়
কোথাও কি লেগে তোমার গন্ধ আমার ত্রিসীমানা পার ?
অনেক খুঁজে, ক্লান্ত শেষে, প্রশ্ন জাগে মনে ,
পাল্টে নিয়েছো নাকি নিজের গন্ধটাকে ?
কোন বহুমূল্য সুগন্ধির দৌলতে এত স্পর্ধা তোমার ,
নিজেকে ভুলে রং মেখেছো, মুখ ঢেকেছো কার?
নখের কোনে ময়লা জমেছে, মনেও জমেছে অনেক
সম্পৃক্ত হতে অনেক দেরি, সময় রয়েছে ঢের ।
নষ্ট করেছো অনেক আলো, অাঁধার জলে নামি ,
সূর্য্যের কাছে ঝণ করেছি, উপহার দিতে দামি ।
অন্ধকারে বন্ধ ঘরে তোমায় নিয়ে খেলা ,
রইবে মনে চিরহরিৎ
যেন, অন্তরিত তামার তারে সঞ্চারিত তড়িৎ।